স্বদেশ ডেস্ক:
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) উপাচার্য এম আবদুস সোবহানসহ প্রশাসনের একাধিক ব্যক্তির বিরুদ্ধে অন্তত ২৫টি অভিযোগের প্রমাণ পেয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) গঠিত তদন্ত কমিটি। এই কমিটি তদন্ত প্রতিবেদনে ২৩টি গুরুত্বপূর্ণ পর্যালোচনা তুলে ধরে। সেই পর্যালোচনায় বিশ্ববিদ্যালয়ে বিভিন্ন ধাপে ধাপে কীভাবে অনিয়ম হয়েছে, তার চিত্র উঠে এসেছে। ইউজিসির সেই পর্যালোচনাগুলো আমাদের সময়ের হাতে এসেছে। এসব নিয়ে ধারাবাহিক প্রতিবেদনে আজ মঙ্গলবার থাকছে প্রথম পর্ব।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক নিয়োগ নীতিমালা নিম্নগামী করার পেছনে প্রধান ভূমিকায় ছিলেন উপাচার্য এম আবদুস সোবহান। ইউজিসির তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনে বিষয়টি উঠে এসেছে। শিক্ষক নিয়োগ নীতিমালা পরিবর্তন কমিটির দুজন সদস্যের লিখিত বক্তব্যের ভিত্তিতে এ বিষয়ে ইউজিসি তার পর্যালোচনা তুলে ধরে।
তবে উপাচার্য এম আবদুস সোবহান সংবাদ সম্মেলন করে দাবি করেছেন, ইউজিসি গঠিত তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন একপেশে ও পক্ষপাতমূলক। অভিযোগের বিষয়ে বিচার বিভাগীয় তদন্তেরও দাবি জানিয়েছেন তিনি।
উপাচার্যের চাপেই নীতিমালা পরিবর্তনের সুপারিশ
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক নিয়োগ নীতিমালা পরিবর্তন করতে সাত সদস্যের কমিটি গঠন করেন উপাচার্য এম আবদুস সোবহান। এই কমিটির দুজনের লিখিত বক্তব্য নিয়েছে ইউজিসির তদন্ত কমিটি। তারা হলেন তৎকালীন আইন অনুষদের ডিন অধ্যাপক আবু নাসের মো. ওয়াহিদ এবং হিসাব বিজ্ঞান ও তথ্য ব্যবস্থা বিভাগের অধ্যাপক মো. তাজুল ইসলাম। অন্য পাঁচজন ইউজিসিকে এ বিষয়ে কোনো তথ্য দেননি। তাদের মধ্যে নিয়োগ নীতিমালা সুপারিশ কমিটির প্রধান বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য আনন্দ কুমার সাহাও রয়েছেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের হিসাব বিজ্ঞান ও তথ্য ব্যবস্থা বিভাগের অধ্যাপক মো. তাজুল ইসলাম লিখিত বক্তব্যে ইউজিসির তদন্ত কমিটিকে জানান, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক নিয়োগ ও আপগ্রেডেশন নীতিমালা যুগোপযোগী করতে সুপারিশ প্রদানের জন্য গঠিত কমিটির সভায় তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ অন্যান্য পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক নিয়োগের যোগ্যতা বিবেচনার জন্য দাবি জানান। যে সভায় বর্তমান নীতিমালাটি সুপারিশ করা হয়, সেই সভায় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান উপাচার্য নিজে উপস্থিত হয়ে বর্তমানে প্রচলিত নীতিমালাটি সুপারিশ করার জন্য বলেন। ওই সভায় তিনি মৌখিকভাবে এই সদস্যকে নিশ্চয়তা দেন যে, শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে সুপারিশকৃত নীতিমালায় বর্ণিত যোগ্যতার চেয়ে অধিক যোগ্যতা সম্পন্ন প্রার্থী থাকলে অব্যশই কম যোগ্যতাসম্পন্ন প্রার্থীকে নিয়োগ বোর্ডের সভাপতি হিসেবে তিনি কখনোই নির্বাচিত হতে দেবেন না। এ প্রেক্ষাপটেই নীতিমালাটি সিন্ডেকেটে উপস্থাপনের জন্য সুপারিশ করা হয়।
ইউজিসিকে তৎকালীন আইন অনুষদের ডিন অধ্যাপক আবু নাসের মো. ওয়াহিদ লিখিত বক্তব্যে জানান, উপ-উপাচার্য আনন্দ কুমার সাহাকে প্রধান করে গঠিত ওই তদন্ত কমিটি একাধিক বৈঠক করে। এসব বৈঠকে কমিটির সদস্যরা আইন অনুষদ, কলা অনুষদ ও সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের কিছু বিভাগে নীতিমালা শিথিল করার পক্ষে মত দেন। বৈঠকে বিজ্ঞান অনুষদের ডিন তার অনুষদে শিক্ষক নিয়োগ নীতিমালা শিথিল করার বিপক্ষে মতামত তুলে ধরেন। পরের দুটি বৈঠকে আইন অনুষদ, কলা অনুষদ ও সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের জন্য নীতিমালা কিছুটা পরিমার্জন করে স্নাতক ও স্নাতকোত্তরের যেকোনো একটিতে সিজিপিএ ৩.৫ ও অন্যটিতে সিজিপিএ ৩.২৫ করার বিষয়ে মত দেন সদস্যরা।
অধ্যাপক আবু নাসের মো. ওয়াহিদ লিখিত বক্তব্যে আরও উল্লেখ করেন, সুপারিশ কমিটির আহ্বায়ক (উপ-উপাচার্য আনন্দ কুমার সাহা) কমিটির সদস্যদের একটি চিঠি দিয়ে জানান যে, ওই নীতিমালার সুপারিশে উপাচার্য এম আবদুস সোবহান সন্তুষ্ট নন। পরে উপাচার্য ওই কমিটির সদস্য না হয়েও সুপারিশ কমিটির বৈঠকে উপস্থিত হন। সেখানে উপাচার্য বিশেষভাবে ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদে প্রার্থীর যোগ্যতা শিথিল করার বিষয়ে মতামত তুলে ধরেন। ওই বৈঠকে অধ্যাপক তাজুল ইসলাম উল্লেখ করেন যে, ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদে অনেক শিক্ষার্থী সিজিপিএ ৩.৫ এর উপরে পেয়ে থাকেন। এরপরও উপাচার্য ওই অনুষদে প্রার্থীর যোগ্যতা শিথিল করতে বলেন।
উদ্দেশ্য যখন দুর্নীতি-স্বজনপ্রীতিকে উৎসাহ দেওয়া
তদন্ত কমিটির পর্যালোচনায় উঠে এসেছে, ২০১৭ সালের ২৭ আগস্ট অনুষ্ঠিত ৪৭২তম সিন্ডিকেট সভায় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক নিয়োগ ও আপগ্রেডেশন নীতিমালা যুগোপযোগী করতে সুপারিশ প্রদানের জন্য সাত সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। এই কমিটির প্রধান ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য আনন্দ কুমার সাহা। ওই কমিটির সুপারিশ ২০১৭ সালের ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত সিন্ডিকেট সভায় অনুমোদন দেওয়া হয়। ওই নীতিমালায় যেসব বিভাগ ও ইনস্টিটিউটে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে, তাদের অধিকাংশই কম যোগ্যতা সম্পন্ন। এর ফলে বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষা ও গবেষণার মান নিম্নগামী হয়েছে। একই সঙ্গে দুর্নীতি ও স্বজনপ্রীতিকে উৎসাহ দেওয়া হয়েছে।
নিম্নমানের নীতিমালা প্রণয়নের পেছনে যা দেখছে ইউজিসি
উপাচার্যের লিখিত জবাব ও রেজিস্ট্রারের থেকে পাওয়া তথ্য বিশ্লেষণ করে ইউজিসির তদন্ত কমিটি বলছে, দুটি কারণে শিক্ষক নিয়োগ নীতিমালা পরিবর্তন করা হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতি নীতিমালায় শিক্ষাগত যোগ্যতা শিথিল করতে বলেছে এবং আইন ও ইংরেজি বিভাগের উচ্চতর যোগ্যতার কারণে শিক্ষক নিয়োগ করা যাচ্ছে না বিধায় যোগ্যতা শিথিল করতে বলা হয়। তাই উপাচার্য নীতিমালা প্রণয়ন করে কমিটির সুপারিশ বাস্তবায়ন করেছেন।
এ পর্যায়ে ইউজিসির তদন্ত কমিটি প্রশ্ন তুলেছে, যেখানে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় অ্যাক্ট ১৯৭৩ এ শিক্ষা ও গবেষণার মান উন্নয়ন করার তাগিত দেওয়া হয়েছে, সেটি অনুকরণ না করে উপাচার্য নিম্নমুখী করেছেন। তাছাড়া আইন ও ইংরেজি বিভাগের শিক্ষক নিয়োগে আবেদনকারী কম পাওয়া যাচ্ছে, তাই বলে ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদে শিক্ষক নিয়োগের যোগ্যতা পরিবর্তন করতে হবে কেন?
২০১৫ সালের নীতিমালায় মেধাতালিকায় প্রথম থেকে সপ্তম স্থান অধিকারীরাই আবেদন করতে পারবে-এই শর্তটি কেন উঠিয়ে দেওয়া হলো, তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন ইউজিসির তদন্ত কমিটির সদস্যরা। তারা বলছেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের খ্যাতনামা সব বিশ্ববিদ্যালয়ের মেধাতালিকার স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পর্যায়ের প্রথম দিক থেকে প্রার্থীদেরকে সাধারণ শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়ে থাকে।
নথিপত্র পর্যালোচনা করে তদন্ত কমিটির সদস্যরা মতামত দেন, অধিকাংশ নিয়োগেই মেধা তালিকার প্রথম দিকে থাকা বা অত্যন্ত ভালো সিজিপিএ এবং ভাইভাতে ‘এ-প্লাস’ অথবা ‘এ’ পাওয়া শিক্ষার্থীরা আবেদনকারী হিসেবে থাকার পরও নিচের পজিশনের প্রার্থীকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে, এমনকি ক্লাসের ৬৭তম ও ২১তম পজিশনের প্রার্থীও নিয়োগ পেয়েছে। ২১তম অবস্থানে থাকা প্রার্থী উপাচার্য এম আবদুস সোবহানের মেয়ে ও ৬৭তম অবস্থানে থাকা প্রার্থী তার মেয়ের জামাতা।
শিক্ষা ও গবেষণার মান নিম্নমুখী করেন উপাচার্য
ইউজিসি বলছে, ১৯৭৩ সালের অ্যাক্ট সমুন্নত রেখে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনা করে শিক্ষা ও গবেষণার মানোন্নয়ন করা উপাচার্যের কাজ। কিন্তু উপাচার্য এম আবদুস সোবহান দ্বিতীয় মেয়াদে উদ্দেশ্যমূলকভাবে শিক্ষক নিয়োগ নীতিমালা পরিবর্তন করেছেন। ইউজিসি এটাকে ‘মৌলিক পরিবর্তন’ বলে উল্লেখ করেছে তাদের পর্যালোচনায়। এর মাধ্যমে উপাচার্য মেয়ে ও জামাতাকে নিয়োগ দিয়েছেন এবং উপ-উপাচার্য চৌধুরী মো. জাকারিয়া মেয়ের জামাতাকে নিয়োগ দিয়েছেন। যারা ২০১৫ সালের নীতিমালা অনুযায়ী আবেদনের যোগ্য ছিলেন না। শুধু তাই নয়, এর মাধ্যমে অপেক্ষাকৃত কম যোগ্যতাসম্পন্ন প্রার্থীদের নিয়োগ প্রদানের পথ খুলে যায়। একই সঙ্গে এতে করে বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষা ও গবেষণার মান নিম্নমুখী হওয়ার দরজা উন্মুক্ত হয়।
ইউজিসি বলছে, ১৯৭৩ সালের অ্যাক্টের মাধ্যমে পরিচালিত অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের নীতিমালার সঙ্গে ২০১৭ সালে পরিবর্তিত রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের নীতিমালা তুলনা করে ইউজসিটির তদন্ত কমিটি। এতে তারা দেখতে পায়, অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক নিয়োগ নীতিমালা রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমানের প্রচলিত নীতিমালার চেয়ে অনেক উন্নতমানের। এমনকি অপেক্ষাকৃত নবীন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক নিয়োগ নীতিমালাও এর চেয়ে উন্নত।
২০১৫ সালের নীতিমালা ছিল সবচেয়ে যুগোপযোগী
বিভিন্ন সময়ে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবর্তিত শিক্ষক নিয়োগ নীতিমালা পর্যালোচনা করে ইউজিসির তদন্ত কমিটি মত দেয় যে, ২০১৫ সালে প্রবর্তিত নীতিমালাটি সবচেয়ে যুগোপযোগী এবং রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় অ্যাক্ট ১৯৭৩ এর সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ ছিল। শুধু তাই নয়, এই নীতিমালা দেশের অন্য বড় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক নিয়োগ নীতিমালার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ ছিল। কিন্তু সেটিকে পরিবর্তন করে ২০১৭ সালে যে নীতিমালা প্রণয়ন করা হয়েছে, তা সবচেয়ে নিম্নমানের, যা কিছুতেই শিক্ষার মান উন্নয়নের সঙ্গে সংগতিপূর্ণ নয়। উপাচার্য এম আবদুস সোবহানের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগুলোর মধ্যে শিক্ষক নিয়োগ নীতিমালা পরিবর্তনকেই প্রধান হিসেবে উল্লেখ করে তদন্ত কমিটি। পর্যালোচনায় বলা হয়, নিম্নমানের এই নীতিমালা প্রণয়ন না করলে বিভিন্ন বিভাগে কম যোগ্যতাসম্পন্ন শিক্ষক নিয়োগ করার মতো আত্মঘাতী পরিস্থিতির সৃষ্টি হতো না।
সাবেক উপাচার্যের মেয়ের নিয়োগে কোনো অনিয়ম পায়নি ইউজিসি
২০১৯ সালের ১০ নভেম্বর উপাচার্য এম আবদুস সোবহান ইউজিসিকে চিঠি দিয়ে জানান, ‘শুধুমাত্র একটি বিভাগে (ইংরেজি) প্রভাষক নিয়োগ নীতিমালা ২০১৪ সালের ২৯ অক্টোবর অনুষ্ঠিত ৪৫৫তম সিন্ডিকেট সভায় পরিবর্তন করা হয়। এই পরিবর্তিত নীতিমালার ভিত্তিতে তৎকালীন উপাচার্য মুহম্মদ মিজানউদ্দিন তার মেয়েকে ২০১৫ সালের ২১ এপ্রিল ৪৫৯তম সিন্ডিকেট সভায় ইংরেজি বিভাগে প্রভাষক হিসেবে নিয়োগ দান করেন। উল্লেখ্য পরিবর্তিত নীতিমালাটির শর্তাবলি হুবহু তার মেয়ের স্নাতক (সম্মান) ও স্নাতকোত্তর পরীক্ষায় প্রাপ্ত সিজিপিএ-কে ভিত্তি করেই নির্ধারণ করা। মেয়ের নিয়োগের অব্যবহিত পরেই ২০১৫ সালের ২১ নভেম্বর ৩৬২তম সিন্ডিকেট সভায় তৎকালীন উপাচার্য বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল বিভাগে ও ইনস্টিটিউটে বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে প্রভাষক/সহকারী অধ্যাপক নিয়োগ নীতিমালা পরিবর্তন করেন।’
ইউজিসি বলছে, এই চিঠির মাধ্যমে উপাচার্য এম আবদুস সোবহান ইঙ্গিত করেন যে, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে আগেও দুর্নীতি ও স্বজনপ্রীতি হয়েছে। তার এই অভিযোগটি সত্য কি না, সে বিষয়েও তদন্ত করে ইউজিসি।
পর্যালোচনায় ইউজিসি উল্লেখ করে, উপাচার্যের অভিযোগ যাচাই করতে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সময়ে প্রণীত নীতিমালা তদন্ত কমিটি পর্যালোচনা করেছে। এতে কমিটি দেখেছে, ২০১২ সালের নীতিমালার চেয়ে ২০১৪ সালে ইংরেজি বিভাগের জন্য প্রণীতি নীতিমালা উন্নতমানের এবং ২০১৭ সালের নীতিমালা অন্যান্য নীতিমালার থেকে অত্যন্ত নিম্নমানের। প্রাক্তন উপাচার্য মুহম্মদ মিজানউদ্দিনের মেয়ে রিদিকা মিজান তার বিভাগে প্রথম স্থান অধিকার করেন। প্রাক্তর উপাচার্য তার মেয়েকে শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দিয়েছিলেন ওই বিশ্ববিদ্যালয়ে তখনকার প্রচলিত নীতিমালার চেয়ে উন্নতমানের নীতিমালাতে। কিন্তু বর্তমান উপাচার্য অধ্যাপক এম আবদুস সোবহান প্রচলিত নীতিমালাকে পরিবর্তন করে নিম্নমানের নীতিমালা প্রণয়ন করেছেন এবং তার মেয়ে ও জামাতাকে নিয়োগ দিয়েছেন।